শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করছেন সাকিব আল হাসান

বকেয়া বেতনের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে বিক্ষোভ করেছেন ‘সাকিব আল হাসান’ অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কাঁকড়া হ্যাচারির শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, চার মাস ধরে বেতন দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের সেই পাওনা বুঝিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন সাকিব। প্রতিষ্ঠানটির একজন অংশীদার হলেও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এ ক্রিকেটার ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিগত উৎস থেকেই পরিশোধ করবেন বকেয়া বেতন। কথাটি বুধবার সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে করা বিশাল এক পোস্টে সাকিব শুধু নিজের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। সাংবাদিক-শ্রমিকদেরও দোষারোপ করে গেছেন সমানতালে, ‘দেরিতে সাড়া দেয়ার কারণে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সমস্ত তথ্য আর ভাবনাগুলোকে একটু গুছিয়ে নিতে চাচ্ছিলাম। যেন আপনাদের সবার কাছে সত্যটা তুলে ধরতে পারি। যদিও আমার নামটা অ্যাগ্রো ফার্মের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু ব্যস্ত সূচির কারণে এটিও আমার অন্যান্য কোম্পানির মতোই অংশীদাররা পরিচালনা করেন।’

‘‘আমি এগুলোর নিয়মিত খোঁজ রাখার বা ঘুরে দেখার সুযোগ খুব কমই পাই। আপনারা জানেন যে বছরের বড় একটা সময় আমি দেশের বাইরে থাকি। আমাদের দ্বিতীয় সন্তান আসছে এবং এই পুরো সময়টায় আমি অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবসার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। মিডিয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদের বিষয়টা আমি জেনেছি। আমার ব্যবসায়িক অংশীদাররা আমাকে জানায়নি যে, শেষ কয়েকমাসে আসলে কী হয়েছে?

কিন্তু তারা কিছু শ্রমিককে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন দিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও সব শ্রমিকের কাজ জানুয়ারিতেই শেষ হয়ে গেছে। তবু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরেও শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এলো, বিক্ষোভ করল। সম্ভবত নিচু মানসিকতার কিছু মানুষের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।

যাই হোক, বিষয়টা জানার সঙ্গে সঙ্গে এর গুরুত্ব অনুধাবন করে পুরো বিষয়টা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের বেতন আমার নিজের আয় থেকে পরিশোধ করে দেব। কোনো কোম্পানি প্রদত্ত অর্থ বা আমার অংশীদারদের থেকে নিয়ে নয়। আসলে আমি মনে করি এটা কোম্পানির অভ্যন্তরীণ একটা বিষয় যা অভ্যন্তরীণ থাকাই উচিত ছিল।

আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি তাদেরকে মাস শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না দেখে। যেহেতু তারা নিজেরাই এই বিষয়ে রাজি হয়েছিল। আরও অনেকের মতোই আমিও অসহায় মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছি, তাই অবাক হচ্ছি যে, মানুষ এটা কীভাবে ভাবল এত বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে আমি বঞ্চিত করব, যাদেরকে গত ৩ বছর ধরে নিয়মিত বেতন দিয়ে আসা হচ্ছে।