টুইটারে চলছে ‘প্রমাণ দাও’ ঝড়!

মুক্তির পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে নেটফ্লিক্সের ছবি ‘এক্সট্রাকশন’। বিশ্বখ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ অভিনীত ছবিটি অনেকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও এতে বাংলা ভাষার ব্যবহার বেশ চমক জাগিয়েছে। টাইলর চরিত্রে অভিনয় করা ক্রিসের মুখ থেকে বেশ নাটকীয়তার সঙ্গে ‘প্রমাণ দাও’ কথাটি উচ্চারিত হওয়ায় তা ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, বহুল আলোচিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন বিশ্বখ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ, যিনি টাইলার রেকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এতে তাঁকে দেখা গেছে কালোবাজারের একজন সদস্য হিসেবে। যে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। সে বাংলাদেশে আসে ভারতের এক গ্যাংস্টারের ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য, যাকে বাংলাদেশের গ্যাংস্টার অপহরণ করে। এই উদ্ধার মিশনে এসে, টাইলারের নিজ পরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয় সেই বাচ্চা ছেলেটি।

এখন টাইলার কি পারবে সেই ছেলেটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে সেই ছেলে ও নিজেকে সুস্থ-সুন্দর জীবন দিতে? নাকি তারা দুজনেই এই অপরাধজগতের সঙ্গে আরো জড়িয়ে যাবে? তা জানতে আপনাকে দেখতে হবে, ক্রিস হেমসওর্থ অভিনীত ‘এক্সট্রাকশন’।

দেখুন ক্লিপটি :

ছবিটির একটি দৃশ্যে টাইলরকে একটি প্রশ্ন করা হলে তিনি শুদ্ধ বাংলায় প্রমাণ চান। তিনি বলেন, প্রমাণ দাও। বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ছবিতে বাংলা ভাষার ব্যবহারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলা ভাষাভাষী অনেকেই।

জনপ্রিয় ব্লগার ও লেখক অর্ণব রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাঁর রিভিউতে লিখেছেন, ‘প্রমাণ দাও’ বলার মাধ্যমে সম্প্রতি ন্যূনতম এক লাইন বলা ব্যক্তিদের মধ্যে ক্রিস হেমসওর্থ আবেদনময় পুরুষে পরিণত হয়েছেন।

অন্যদিকে সুস্মিতা নামের এক নেটিজেন টুইটারে লিখেছেন, “ক্রিস হেমসওর্থ ও ‘এক্সট্রাকশন’ আমার হৃদয়ের বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। আপনারা আমার মাতৃভূমিতে ছবিটির শুটিং করেছেন এবং আমার মাতৃভাষায় দুটি শব্দ ‘প্রমাণ দাও’ বলেছেন। আপনার আকর্ষণীয় কণ্ঠে বাংলা শব্দ শুনে আমার অনুভূতি কীভাবে ব্যক্ত করব, তা আমি জানি না। এগিয়ে যান।”

ইপ্সিলা নামের আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ক্রিস হেমসওর্থের বাংলা খুব সুন্দর। প্রমাণ দাও, প্রমাণ।’

‘এক্সট্রাকশন’ পরিচালনা করেছেন স্যাম হারগ্রেভ। এতে অভিনয় করেছেন টেইলর রাকের ভূমিকায় ক্রিস হেমসওর্থ, রুদ্রাক্ষ জয়সালের ভূমিকায় অভি, ডেভিড হার্বার, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, রণদীপ হুদা, মার্ক ডোনাটো, ফে মাস্টারসন, ডেরেক লুক প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মার্ভেলের ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ ও ‘এন্ডগেম’ সিনেমার পরিচালক জো ও অ্যান্থনি রুশো।

পত্রপত্রিকার খবর, ঢাকার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হলেও মূল দৃশ্যায়ন হয়েছে ভারতের আহমেদাবাদের একাধিক লোকেশনে। সেখানে বাংলাদেশের মতো করেই সেট তৈরি করা হয়। পরে ঢাকায় সামান্য কিছু শুট করা হয়। বিশেষ করে বুড়িগঙ্গা নদী ও সেতুর দৃশ্য নিয়ে ঢাকার দর্শক ট্রেইলার মুক্তির পর থেকে আলোচনা করছেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু হয় ছবিটির। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রডাকশনের কার্যক্রম শেষ হয়। গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ব্যয়বহুল ও আলোচিত ছবিটি।