সীমিত পরিসরে হলেও করোনা ভ্যাকসিন চালু করার পরামর্শ সিইপিআইয়ের

করোনাভাইরাসের এই বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতিতে পুরোপুরি টেস্টের আগে সীমিত পরিসরে হলেও করোনা ভ্যাকসিন চালু করার পরামর্শ দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপার্ডনেস ইনোভেশন(সিইপিআই)। কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে করোনা ভ্যাকসিন চালু করতে অনেক সময় লেগে যাবে তাই সিইপিআই’র এই পরামর্শ।

মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের প্রয়োগে সুফলের আশা থাকলেও নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার উপসংহার টানতে কয়েক মাস লেগে যাবে। ফলে দরকার জরুরি সমাধান। বিজ্ঞানীরা তাই এখন জরুরি ভিত্তিতে আগে ভাবা যায়নি এমন সমাধানই খুঁজছেন।

প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১১৫টি ভ্যাকসিন পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছে। তবে সবাই দ্রুত বাজারে আসার পথ খুঁজছে।

সাধারণত কোনো ভ্যাকসিন বিশালভাবে ব্যবহারের আগে হাজার হাজার মানুষের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষণ চালানো উচিত। কিন্তু কোনো ভ্যাকসিন বিষাক্ত না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অল্প কিছু মানুষের উপর পরীক্ষণ চালানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার সময়ে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস লকডাউন সহজ করতে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে।

যদি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়, তাহলে যারা ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এবং নিরাপদে কাজে ফিরে যেতে পারেন তাদের চিহ্নিত করা যাবে। আর যদি ভ্যাকসিন পাওয়া যায় তখন সেটা কাদের প্রয়োজন হতে পারে সেটাও চিহ্নিত করা যাবে।

বর্তমানে বাজারে খুব কম সংখ্যক নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষণ আছে। কোশেন্টের দাবি, তারা অত্যন্ত সঠিক পরীক্ষা করেছে যা তাদের রক্তের স্ক্রিনিং মেশিনগুলিতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। সুইজারল্যান্ডের আইসিনসে তাদের প্লান্টে মোশাইকিউ নামে এই মেশিনটি আরো বেশি বেশি বানানো হচ্ছে। একটি মেশিনেই দিনে ৩০০০ পরীক্ষা করা যাবে। করোনা চিকিৎসায় যা খুবই কার্যকর হতে পারে।