আইনমন্ত্রী : করোনা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসজনিত বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তবেই এ সংকট ভালোভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস : প্রোটেকটিং দ্য মোস্ট ভালনারেবল‘ শীর্ষক এক ওয়েব সেমিনারে (ওয়েবইনার) ঢাকা থেকে অনলাইনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ অভিমত তুলে ধরেন। জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্ট এ সেমিনারের আয়োজন করে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ও ন্যাটুরা কোম্পানির চেয়ারম্যান রবার্ট মারকুইসও সেমিনারে অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় বেশকিছু উদ্দীপনা প্যাকেজসহ তাঁর সরকারের তরফ থেকে দুই ধাপে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার সার্বিক একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ধাপে রপ্তানিমুখী শিল্পকর্মী ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা (জরুরি) প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার চারটি নতুন আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া কৃষি খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩০টি পরিবার তথা তিন কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৮ জনের কাছে সরকারের চাল ও নগদ টাকার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে শিশুদের জন্যও আলাদাভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পরিত্র রমজন উপলক্ষে দেশব্যাপী ৪৯৮টি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য টিসিবির মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, চিনি, ছোলা, পেয়াঁজ ইত্যাদি।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষ এগিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি গার্মেন্টস সংগঠনগুলো তাদের কারখানাগুলোর কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে।