করোনাভাইরাস: দেশে আরও ৫৬৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত, ৫ জনের মৃত্যু

কোভিড-১৯ শনাক্তের ৫৪তম দিনে এসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৬৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন: করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৬২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৯৬৫টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৬৬টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৫৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৭। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৮ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১০। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬০ জন।

ডা. নাসিমা বলেন, নতুন করে যে ৫ জন মারা গেছেন তারা তিনজন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা। বয়সের দিক থেকে দু’জন ষাটোর্ধ্ব, তিনজন চল্লিশ ও পঞ্চাশোর্ধ্ব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। এসময় হাল্কা গরম পানি এবং মধুসহ হাল্কা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন দশ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।