করোনায় চার শ’র বেশি ডাক্তারসহ ৯৯৪ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও দিন দিন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত দেশে ৯৯৪ ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

রোববার রাতে  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএমএ দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শহিদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ৪০৮ জন ডাক্তার, ২৭০ জন নার্স,  ৩১৬ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মীসহ সর্বমোট ৯৯৪ জন কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ২১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮টি। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৬৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৫৫। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৭ জনে।

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন এগারো লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।