হেঁটে বাড়ি ফিরতে ক্লান্ত ১৫ শ্রমিকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনে

বাস-ট্রেন কিছুই পাননি, তাই হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন অন্য রাজ্যে কাজ করা শ্রমিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেরা হলো না ১৫ শ্রমিকের।

কর্মস্থল আর বাড়ির দূরত্ব ৮৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। পায়ে হেঁটে যেতে যেতে ভীষণ ক্লান্ত। রেল যেহেতু চলছে না তাই রেললাইনে খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তারা। সেখানেই মালগাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ১৫ শ্রমিকের শরীর।

মহারাষ্ট্রের জালনায় একটি স্টিলের কারখানায় কাজ করতেন তারা। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনে কাজ হারিয়ে মধ্যপ্রদেশের উমরা ও শাহদোলে নিজেদের বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন বেকার শ্রমিকরা।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা রওনা দিয়েছিলেন পদব্রজে। এভাবেই প্রায় ৩৬ কিলোমিটার অতিক্রমের পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন। জিরিয়ে নেওয়ার জন্য রেললাইনে বসেছিলেন। ক্ষুধা আর হাঁটার ধকলে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তাতেই এই দুর্ঘটনা। বদলাপুর ও করমাদ স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় শুক্রবার ভোরে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশের মতে, তারা হয়তো ধরে নিয়েছিলো এখন ট্রেন চলছে না। তাই রেললাইনেই বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলো। এছাড়াও আহত হয়েছেন একাধিক শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করে আওরঙ্গবাদ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্রমিকদের প্রাণহানির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারপ্রতি পাঁচ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।