করোনাভাইরাস: দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৬ জন শনাক্ত, মৃত ৮

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৬৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাস আরও আটজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নতুন করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৩ জন।

শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ২৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় পাঁচ হাজার ৪৬৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ১৬ হাজার ৯১৯টি।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান: নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৬৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৭০ জনে। মহামারী করোনাভাইরাস নতুন করে আরও আটজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ফলে মোট মৃত্যু সংখ্যা ২১৪ জন। সুস্থ হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘরে ফিরেছেন ৩১৩ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪১৪।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে মারা যাওয়া আটজনের সকলেই পুরুষ; সত্তরোর্ধ্ব দুজন, ষাটোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন ও ত্রিশোর্ধ্ব একজন।

ডা. নাসিমা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সমাপ্ত ঘটনার বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাড়ে তেরো লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে পঞ্চমবারের মতো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।