মাকে নিয়ে হলিউডের অসাধারণ দশ সিনেমা

বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে মা দিবস। মাকে নিয়ে পৃথিবীতে লেখা হয়েছে অসংখ্য গল্প কবিতা উপন্যাস। বিশ্বের সব ভাষায় রচিত হয়েছে অসংখ্য গান। দেশে দেশে নির্মিত হয়েছে অগনিত সিনেমা। এরমধ্যে মাকে কেন্দ্র করে হলিউডে নির্মিত হয়েছে চমৎকার কিছু সিনেমা। বিশেষ এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে মাকে নিয়ে দেখতে ফেলতে পারেন একটি সিনেমা। জেনে নিন মাকে নিয়ে তৈরি হলিউডের দশটি সিনেমা সম্পর্কে:

মিল্ড্রেড পিয়ার্স (১৯৪৫): মাইকেল কার্টিজের এই সিনেমাটি একজন গৃহিণীকে নিয়ে তৈরি যিনি একজন মা। তার স্বামী তাকে ছেড়ে যাওয়ার পরে তাকেই পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে। বখাটে মেয়ের অতিরিক্ত খরচের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তাকে হোটেলের ওয়েট্রেদের চাকরি নিতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজের রেস্তোরা গড়ে তুলেন তিনি। ছবিতে মা-মেয়ের দ্বন্দ্ব দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে একজন মায়ের সংগ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ইমিটেশন অব লাইফ (১৯৫৯): ডগলাস শির্কের এই সিনেমা দুই মায়ের গল্প নিয়ে। মেয়েদের সূত্রে দুজনের পরিচয়। গায়ের রঙ এবং সামাজিক মর্যাদার বাধা উপেক্ষা করে দুই মায়ের বন্ধুত্ব দিন দিন মজবুত হয়।

মাম্মা রোমা (১৯৬২): পিয়ের পাওলো পাসোলিনির মাম্মা রোমা একজন ইতালিয়ান দেহ পসারিণীর গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা। সম্মানজনক জীবনের আশায় ফলের ব্যবসা শুরু করেন সেই নারী। কিন্তু অন্ধকার অতীত সবসময়েই তাকে তাড়া করে বেড়ায়। পুরানো পেশায় ফিরতে বাধ্য হন তিনি। তার সন্তান একজন চোর হিসেবে বড় হয়। একসময় পুলিশের গুলিতে মারা যায় তার সন্তান।

অ্যালিস ডাজেন্ট লিভ হিয়ার এনিমোর (১৯৭৪): মার্টিন স্করসিসের এই সিনেমাটির গল্প সদ্য বিধবা হওয়া এক নারীকে নিয়ে যার ছেলে গায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চায়। এটি স্করসিসের একমাত্র নারী কেন্দ্রিক সিনেমা।

গ্রে গার্ডেনস (১৯৭৫): বয়স্ক মা এবং মধ্যবয়সী মেয়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিনেমা। গ্রে গার্ডেনের একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকেন তারা।

মাম্মি ডিয়ারেস্ট (১৯৮১): মিল্ড্রেড পিয়ার্স ছবিতে মমতাময় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার জিতেছিলেন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী জোন ক্রফোর্ড। কিন্তু বাস্তব জীবনে দত্তক নেয়া সন্তান ক্রিস্টিনা ও ক্রিস্টফারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল রুক্ষ। ক্রফোর্ড তাদের দুজনকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। ক্রফোর্ডের মৃত্যুর পর ক্রিস্টিনা মাম্মি ডিয়ারেস্ট (১৯৭৮) শিরোনামে একটি স্মৃতিকথা লিখেন। এই স্মৃতিকথা অবলম্বেই তৈরি হয়েছে ‘মাম্মি ডিয়ারেস্ট’ সিনেমাটি।

ইভস বেয়ু (১৯৯৭): বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানার পর মেয়ের মনের উপর সেটার প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবির গল্প।

স্যাভেজ গ্রেস (২০০৭): ১৯৭২ সালের নভেম্বরে লন্ডনের এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে খুন হয়েছিলেন বারবারা ডালি বাইকেল্যান্ড। খুনের সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিনেমা।

মাম্মি (২০১৪): এক বিধবা নারীর গল্প দেখানো হয়েছে সিনেমায় যিনি একজন অবাধ্য ছেলের মা। রহস্যময় এক প্রতিবেশীর কারণে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।

দ্য সেকেন্ড মাদার (২০১৫): স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে থাকেন। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে জন্ম নেয়া মেয়ে একদিন সেই নারীর কাছে আসেন। হঠাৎ করেই সব বাধা অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি হয়ে উঠেন দ্বিতীয় মা।