এই শাস্তি আমার জন্য বড় শিক্ষা : সাকিব আল হাসান

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বড় ধাক্কাই লেগেছিল গত বছর ২৯ অক্টোবর। হঠাৎ গুঞ্জন ওঠে নিষিদ্ধ হতে পারেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সন্ধ্যা নামতেই সেই গুঞ্জন সত্যিতে রূপ নেয়। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। অবশ্য তাঁর শাস্তির মেয়াদ এক বছর স্থগিত করা হয়। তাই এক বছরের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারকে।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবরের পর আবার মাঠে ফিরতে পারবেন সাকিব। এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটছে তাঁর। জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, এই শাস্তিটা তাঁর জন্য একটা শিক্ষা।

এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘খেলতে পারছি না, আরো কয়েক মাস খেলতে পারব না এটা মনে হলে খারাপই লাগে। কিন্তু এই শাস্তি আমার জন্য একটা বড় শিক্ষাও। আমাদের জীবনে অনেক কিছু ঘটে, যা আমরা গুরুত্ব দেই না বা অবহেলা করি৷ এটা আসলে ঠিক না। এই শিক্ষাটা আমি ভালোভাবে নিয়েছি।’

তবে খারাপ সময়েই পরিবারের পাশে থাকার মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার, ‘প্রথম সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর কাছে থাকতে পারিনি। তেমন সময়ও দিতে পারিনি। এবার সেটা সম্ভব হচ্ছে। অবশ্য খুব কঠিন সময় পার করছি।  তবে আমি সব সময় খারাপের মধ্যও ভালো কিছু খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। বাচ্চাকে সময় দিচ্ছি।  তবে খেলতে পারছি না এটা নিয়ে মনের ভেতর তো অস্বস্তি আছেই।  কবে খেলা শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত।  আমার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো পাঁচ-ছয় মাস আছে, তার আগে খেলা শুরু হয়ে গেলে আমি তো খেলতে পারব না।’

সাকিব আরো বলেন, ‘আমি নিজের সমালোচনা স্বাভাবিক ভাবেই নিই, নেতিবাচক মনে করি না৷ বরং এ সমালোচনা আমাকে আরো ভালো মানুষ হতে সহায়তা করেছে।’