এবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুটিংয়ে অংশ নিলেন তাঁরা

গত রবিবার আন্ত:সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গোপনে আদিবাসী মিজান নামক এক নাট্যপরিচালক শুটিং করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার পর আন্তঃসংগঠনের চাপে ফিরে আসলে নাটকপাড়ায় স্বস্তি ফিরে আসে। তবে এবার কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার (১২ মে) ছোটপর্দার নির্মাতা সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় সরকারি ও সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিজ্ঞাপনের শূটিংয়ে অংশ নেন অভিনয় শিল্পের সংঘের সভাপতি-অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, চিত্রনায়ক নিরব, আমন রেজা, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, সেমন্তী সৌমি, ফখরুল বাশার মাসুম ও নজরুল রাজ।

অথচ নির্মাতা আদিবাসী মিজান সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে শুটিং আয়োজন করায় অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম সাংগঠনিক অবস্থা থেকে মন্তব্য করেন।

মিজান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, কাজটা খুব অন্যায় করেছে এতে কোনো সন্দেহ নাই। সে তার ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি সবার জন্য বিব্রতকর। তবে এবার অভিযোগের তীর বিচারক সেলিমের দিকে। তখন তিনি দুঃখপ্রকাশও করেন। গত মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শূটিংয়ে অংশ নেন শহীদুজ্জামান সেলিম।

এবার নিজ অভিযোগ প্রসঙ্গে কি বলবেন তিনি? এ প্রসঙ্গে জানতে সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি সচেতনামূলক বিজ্ঞাপন যেনে কাজটি করি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে। ব্যাপারটি এমন হবে আমি বুঝতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে নিজের কাছে খারাপ লাগছে। আমি নিজেও লজ্জিত।

এ প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, এই মুহূর্তে (৬:৪০ মি.) মিটিংয়ে সবাই একত্র হয়েছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আন্ত:কমিটির সিদ্ধান্ত হবে এর বেশি আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। বিস্তারিত রাতে জানাতে পারবো।

পরিচালক সাখাওয়াত মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হাসপাতালে আছেন। এ প্রসঙ্গে পরে ফোন করে কথা বলবেন।

নিরব বলেন, আমি যতদূর যানি এটি একটি সচেতনামূলক কমিনিউটি প্রডাকশন। টেলিভিশনের জন্য নির্মিত হয়নি। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না।

শিরিন শিলা বলেন, রফিক ভাই আমার দুলাভাই ঘরের মানুষ। তার অনুরোধে কাজটি করতে হয়েছে। তবে যেহেতু এটি সচেতনামূলক কাজ সেই দিক বিবেচনা করে সকল নিয়ম মেনে শূটিংয়ে অংশ নেই। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

এদিকে, ঘটনা যখন আরো জটিল পর্যায় তখন অনেক নাট্যকার ও অভিনেতা মনে করছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকের ইন হাউজ শূটিং করতে দেওয়া উচিৎ।