করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১২৭৩, মৃত ১৪

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৭১তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৭৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৫৬ জন।

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট হাজার ৫৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ১১৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮টি।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ২৭৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ২৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৮-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ৩৭৩ জন।

তিন বলেন, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও একজন নারী। ১৩ জন হাসপাতালে এবং একজন বাসায় মারা গেছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের নয়জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন রয়েছেন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে পাঁচজন, কেরানীগঞ্জ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও শরীয়তপুরে একজন করে মারা গেছেন। আর চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে চারজন এবং কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন। বয়সের দিক থেকে একজন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, দুজন চল্লিশোর্ধ্ব, তিনজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, তিনজন ষাটোর্ধ্ব, তিনজন সত্তরোর্ধ্ব এবং একজন ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।