করোনাভাইরাসে কারণে ভারতে সুইগি’র ১১শ কর্মী ছাঁটাই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে চতুর্থ দফায় লকডাউনের মধ্যে দেশটির অন্যতম খাদ্য সরবরাহ কোম্পানি ‘সুইগি’ তাদের ১১শ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির আয় কমে যাওয়ায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই ১১শ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সোমবার ‘সুইগি’র কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শ্রীহার্ষা মাজেতি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আজ আমাদের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক সংবাদ হলো দুর্ভাগ্যবশত কয়েকশ কর্মীকে কয়েকদিনের মধ্যে ছাঁটাই করা হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে ইতোমধ্যে কোম্পানি ব্যবসা সংকুচিত করেছে। এটা সাময়িক বা স্থায়ীও হতে পারে।

‘‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের কয়েক হাজার কর্মচারীকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শহর ও প্রধান কার্যালয় থেকে ছাঁটাই করতে হবে।’’

এর আগে আরেক খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা জোমাটোও তাদের প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী কমানোর ঘোষণা দেয়।

ওই ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলো সুইগিও।

শ্রীহার্ষা বলেন, কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ কয়েকদিনের মধ্যেই ছাঁটাইকৃত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং তাদের সর্বাত্মক আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

তাদের কমপক্ষে ৩ মাসের বেতন দেয়া হবে। এছাড়া চাকরিতে নিয়োগের সময় থেকে হিসাব করে প্রত্যেক বছরের জন্য এক মাসের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পরিবারকেও স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হয়েছে। এটা চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সুইগির প্রধান কার্যনির্বাহী সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বলেন, যদিও করোনার প্রভাব কাটিয়ে ধীরে ধীরে ডেলিভারি ব্যবসা এবং ডিজিটাল বাণিজ্যের কাজ শুরুর অনুমতি মিলেছে, কিন্তু এই অনিশ্চয়তা কত দিন টিকে থাকবে তা কেউ জানে না, এটা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

‘‘সুইগি তাদের ব্যবসার বিস্তারকে আপাতত ছোট করছে, কেননা এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রেই লাভজনক হচ্ছে না সেটি। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতি থেকে খুব একটা আশাপ্রদ জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।’’

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে হওয়া লকডাউনের ফলে সংস্থার মূল খাদ্য সরবরাহ ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগামী কিছুদিনও এই প্রভাব চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।