আম্পানে প্রাথমিক ক্ষতি ১১’শ কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করে সরকার বলছে, ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৪টি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রাথমিক হিসাবের ভিত্তিতে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রাথমিক হিসাব আমরা পেয়েছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় আমদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছে। অন্য যারা আছেন তারা রিপোর্ট দিয়েছেন তারা তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেয়নি।’

বুধবার বিকালে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগে উঠে আসে। সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশের উপকূলেও শুরু হয় তার তাণ্ডব। সারারাত দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাণ্ডব চালায়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর শক্তি ক্ষয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় আম্পান। এ কারণে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাত জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপায় দুই জন, ভোলার চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিনে দুই জন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একজন, সাতক্ষীরা সদরে একজন ও সন্দ্বীপে একজন মারা যায়