আইসিইউতে আশীষ, সালমানের সাহায্যের অপেক্ষায়

ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘সসুরাল সিমার কা’খ্যাত অভিনেতা আশীষ রায় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি। কয়েক দিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর আর্থিক অবস্থা ভীষণ করুণ হওয়ায় ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে তিনি হাসপাতালের বিল পরিশোধের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। সুপারস্টার সালমান খান তাঁর জন্য সাহায্যের হাত বাড়াবেন, এ আশাও ব্যক্ত করেছেন আশীষ।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে প্রকাশ, দানশীল বলে খ্যাত সালমান খান যদি কোনো সাহায্য করেন, তাহলে আশীষ রায়কে সুস্থ করে তোলা যাবে। সালমান খানের ওপরই জনপ্রিয় টেলি অভিনেতার চিকিৎসা অনেকাংশে নির্ভর করছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশীষ রায়ের বন্ধু সুরজ থাপার সালমান খানের প্রতিষ্ঠান বিয়িং হিউম্যানের সঙ্গে জড়িত। ফলে বিয়িং হিউম্যানের তরফে সালমান খান যদি কোনো সাহায্য করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অভিনেতা।

দুদিন আগে বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবল প্রতিবেদনে জানায়, ‘রিমিক্স’, ‘বানেগি আপনি বাত’, ‘কুছ রং পেয়ার কে অ্যায়সে ভি’সহ আরো বেশ কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন আশীষ রায়। তবে এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার থাকার পরও হাসপাতালের বিল দিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি।

আশীষ জানিয়েছেন, বিল দেওয়ার মতো একটি পয়সাও তাঁর কাছে নেই। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর অনেক বন্ধুই সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। ‘আমার জন্মদিন (১৮ মে) থেকেই আমি এখানে আটকে আছি। সর্বত্র এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি চলছে আর আমি হাসপাতালের একটি রুমে আইসোলেটেড অবস্থায় আছি। আমি দুঃসহ অবস্থায় আছি,’ বলেন আশীষ রায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয় প্রতিবেদনে।

আশীষ রায় আরো জানান, তাঁর হাতে থাকা সব অর্থই তিনি হাসপাতালের বিল দেওয়ার কাজে খরচ করেছেন এবং এখন তাঁর হাতে আর কোনো অর্থ অবশিষ্ট নেই। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অর্থ নেই। দুই লাখ রুপি ছিল, কিন্তু তা দুদিনের মধ্যেই আমাকে হাসপাতালে দিতে হয়েছে। এখন আমার কাছে একটি পয়সাও নেই। মানুষ আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। তাঁরা আমাকে বলছেন, কী হয় দেখি। দুর্যোগের কারণে আমাকে একটি বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে, যা বেশ ব্যয়বহুল।’

গত বছর প্যারালাইটিক স্ট্রোক করেন আশীষ রায়। তখনো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর ডায়ালাইসিস চলছে। তবে সেরে উঠবেন, এমনটি মনে করছেন না রায় নিজেই।

করোনাকালে টেলিভিশন অঙ্গনের অনেকেই আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। আর্থিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে গত ১৬ মে আত্মহত্যা করেন টেলিভিশন অভিনেতা মনমিত গ্রেওয়াল।