ভারতে লকডাউন বেড়েছে আরো এক মাস, ৩০ জুন পর্যন্ত

ভারতজুড়ে ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। আরো এক মাস বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।

যেমন ৮ জুনের পর থেকে শপিংমল, রেস্তোরাঁ খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে কন্টেনমেন্ট জোন বা সিল এলাকায় কোনো শপিংমল বা রেস্তোরাঁ খোলা চলবে না বলে জানানো হয়েছে।

কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া অন্য এলাকায় ধর্মীয় স্থান, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ৮ জুনের পর খোলার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে যেসব ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ ছিল, এবার কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে সেগুলি সবই চালু করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা নিয়মের ভিত্তিতে সব কিছু চালু হবে।

অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের পরে জুলাই মাসে স্কুল পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্কুল-কলেজ খোলার আগে অভিভাবক, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে, আরো এক মাস মেয়াদ বাড়ছে লকডাউনের। তবে এবারের লকডাউন কার্যকর হবে শুধু কন্টেনমেন্ট জোনে। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরেও খুলছে না স্কুল-কলেজ।

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে লকডাউন থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাতেই ছাড় দেওয়া হবে। এই এলাকাগুলিতে মানুষজনের যাতায়াতের উপরও কড়া নজর রাখা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী এই এলাকার বাড়িতে গিয়ে এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হতে পারে। কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে সংক্রমণের নিরিখে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও বাফার জ়োন চিহ্নিত করতে পারবে। যেখানে রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে।

এর আগে লকডাউনে সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ছিল কারফিউ ছিল। এখন কারফিউর সময়ে পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনো যাবে না। যারা ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বা ১০ বছরের নিচে তাঁদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই নিয়ম অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও প্রযোজ্য।

লকডাউনের বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃরাজ্য পরিবহনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ভারতের মধ্যে যেকোনো রাজ্যে যাওয়ার উপর আর কোনো নিষেধাজ্ঞা রইল না। এরমধ্যেই ১ জুন থেকে রেল পরিষেবাও চালু হতে চলেছে। আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনে শুধুমাত্র অতিপ্রয়োজনীয় কার্যক্রমে অনুমতি দেওয়া হবে। সেখানে মানুষের চলাচলের কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না। মেডিকেল ইমারজেন্সি এবং অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ ছাড়া সবকিছুর ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে।