আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমর্থনে ভিন্ন মাত্রা পেল ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার অভিযোগে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে এক দল পুলিশের হাঁটু গেড়ে বসার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ফলে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কিছুটা হলেও চিড় ধরেছে। এর মধ্যে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং কেউ কেউ প্রতিবাদেও যোগ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলছেন, গত ২৫ মে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মিনিয়াপোলিস কর্মকর্তাদের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।

ফ্লয়েডের এলাকা হিউস্টনের পুলিশ প্রধান আর্ট অ্যাচেভেদো বলেছেন, ‘ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সব সম্প্রদায়ের নিন্দা জানানো উচিত।’

অ্যাচেভেদো আরো বলেন, ‘তাঁর মৃত্যু বুঝিয়ে দেয়, যখন খারাপভাবে পুলিশ তাদের কার্যক্রম চালায়, তখন তা তুলনামূলভাবে বর্ণ বৈষম্যের শিকার ও দরিদ্র মানুষদের উপর প্রভাব ফেলে।’

গত শনিবার জর্জ ফ্লোয়েডের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দেন অ্যাচেভেদো। গতকাল রোববার হিউস্টনের একটি গির্জার বাইরে জনতার উদ্দেশে অ্যাচেভেদো জানান, তিনি এ বিক্ষোভের অর্থ বোঝার পাশাপাশি যারা এ ঘটনায় কোনো সমস্যা দেখতে পান না, তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা শনিবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ফ্লিন্ট টাউনশিপের থানায় গেলে জেনিসি কাউন্টির শেরিফ ক্রিস সোয়ানসন তাঁর হেলমেট খুলে ও লাঠি নামিয়ে সম্মান জানান।

সোয়ানসন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে আপনাদের সবার সঙ্গে থাকতে চাই। আমরা এটিকে (বিক্ষোভ) প্রতিবাদের বদলে প্যারেড হিসেবে তৈরি করতে চাই। আপনারা যা যা করতে চান, বলুন।’

তখন প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আমাদের সঙ্গে চলুন, আমাদের সঙ্গে চলুন’। এরপর সোয়ানসন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বললেন, ‘চলুন’।

এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন। এবং এর কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনাও তৈরি করেছে। ফলে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।

গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে জাল নোট রাখার অভিযোগে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। বর্ণবিদ্বেষ থেকেই ফ্লয়েডকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ করছে কৃষ্ণাঙ্গরা।