নায়ক ইলিয়াস জাভেদকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশীয় সিনেমার স্বনামধন্য নৃত্যপরিচালক তিনি। নায়ক হিসেবে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। বলছি  ইলিয়াস জাভেদের কথা।
চিত্রনায়ক জাভেদ ১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন।

ঢাকাই ছবির এই নৃত্যপরিচালক ও নায়ক দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিন কাটছে তার।তাইতো জাভেদকে নগদ ১০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মূত্রথলিতে টিউমার থেকে তা ক্যানসানরের পর্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে যাবার কারণে গেল দেড় মাস আগে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে  অপারেশন হয় তার।এ সময়  ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়ে যান বলে জানান তার সহধর্মিনী ডলি জাভেদ। জাভেদের পরিবার যখন আর্থিক সংকটে তখন দেশ করোনা মহামারীর প্রকোপে।

বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গেল ১৯ মে জাভেদকে নগদ ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।১৯৪৪ সালে আফগানিস্তানে তার জন্ম। পরে তারা পেশোয়ার হয়ে পাঞ্জাবে চলে আসেন।

শৈশবে তার প্রিয় নায়ক ছিলেন দিলীপ কুমার। বাবা ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি চাইতেন ছেলেরা ব্যবসায়ী হবে, নয়তো চাকরি করবে। কিন্তু জাভেদের ওসব দিকে মন ছিল না। কীভাবে অভিনেতা হওয়া যাবে এ নিয়েই তিনি ভাবতেন। সিনেমা দেখা, গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন।

এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয়।সবশেষে বাবা-মায়ের কাছে না বলেই জাভেদ পাঞ্জাব ছেড়ে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

নায়ক হিসেবে জাভেদ অভিনয় করেছেন মালকা বানু, অনেক দিন আগে, শাহাজাদা, রাজকুমারী চন্দ্রবান, সুলতানা ডাকু, আজো ভুলিনি, কাজল রেখা, সাহেব বিবি গোলাম, নিশান, বিজয়িনী সোনাভান, রূপের রানী, চোরের রাজা, তাজ ও তলোয়ার, নরমগরম, তিন বাহাদুর, জালিম, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, রাজিয়া সুলতানা, সতী কমলা, বাহারাম বাদশা, আলাদিন আলী বাবা, সিন্দাবাদ প্রভৃতি সিনেমায়।