যুক্তরাজ্যে করোনা চিকিৎসায় ট্রায়ালের অপেক্ষায় পাঁচ ওষুধ

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচটি প্রতিষেধকের ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০টি হাসপাতালে এ পাঁচটি প্রতিষেধক ট্রায়াল করা হবে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রক্ত তরল করার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ হেপারিন এ তালিকায় রয়েছে। শ্বাসযন্ত্রের ওষুধের অধ্যাপক ও পরামর্শদাতা টম উইলকিনসনের মতে, এটি প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ রোগীদের দেওয়া হবে। এটি ফুসফুসে নাটকীয় প্রভাব ফেলতে পারে।

টম উইলকিনসন আরো বলেন, ‘এটি একটি বড় আঠালো মলিকিউল, যা ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং তাদের কোষে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।’ ওষুধটি কার্যকর হলে বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নরওয়ের ওষুধ কোম্পানি বারজেনবায়োর তৈরি বেমসেনটিনিব ওষুধটি ট্রায়ালের অপেক্ষায় থাকা কোভিড-১৯-এর আরো একটি সম্ভাব্য প্রতিষেধক।

ত্বকের ব্যাধি ও ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিসের জন্য তৈরি অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ইনজেকশন ‘মেডি৩৫০৬’, যা অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি অ্যাজমা রোগের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছিল। এটিও রয়েছে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য ট্রায়ালের অপেক্ষায়।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি আরো একটি ওষুধ হলো ক্যালকুইন্স, ম্যান্টেল সেল লিম্ফোমার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয় এটি। এ ছাড়া এটি ফুসফুসের অধিক সমস্যার চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধটিকেও কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য ট্রায়ালের তালিকায় রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া ‘জিলুকোপ্লান’ হলো বেলজিয়ামের ইউসিবি বায়োফার্মার তৈরি একটি ওষুধ। এটি পেশি-সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসায় ট্রায়াল করা হয়েছিল।

এ ওষুধগুলোর প্রতিটি ৬০ জন রোগীর ক্ষেত্রে কয়েক মাস ধরে পরীক্ষা করা হবে। গবেষকরা অন্যান্য দেশেও এ ওষুধগুলো পরীক্ষা করার অপেক্ষায় রয়েছেন।