মাস্ক ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নির্দেশনা

পৃথিবীব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের শুরুতে মাস্ক ব্যবহারে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও এখন অবস্থান বদলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন এক নির্দেশনায় সংস্থাটি বলছে, যদি কেউ জনসমাগমে যান, অবশ্যই তাকে মাস্ক পরতে হবে।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি ওই নির্দেশনায় আরও জানিয়েছে, মাস্ক ব্যবহারের ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের শরীরে তা ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করে।

এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জনসমাগমে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনও এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এখন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ঘরের বাইরে মাস্ক না পরলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, সুস্থ মানুষকে মাস্ক পরার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

কোভিড-১৯ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা কাপড়ের মাস্ক (যেটি মেডিক্যাল মাস্ক নয়) সেটি সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছি।’

‘‘আমাদের কাছে নতুন গবেষণা তথ্য আছে। প্রমাণও আছে, যদি মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সংক্রামণ প্রতিরোধে কাজ করতে পারে।’

তবে সংস্থাটি সব সময়ই বলেছে, যারা অসুস্থ এবং যাদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছেন; তাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, গত বছরের শেষ দিকে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।