করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ৪৫, শনাক্ত ৩১৭১ জন

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৯৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১দশমিক ৬২ শতাংশ।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ১৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৫-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৭৭ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৩৩৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করবেন। পানি ও তরল খাবার বেশি খাবেন। যারা সুস্থ হয়েছেন তারা মসলা দিয়ে পানি হালকা গরম করে খেয়ে উপকার পেয়েছেন। মধু, কালিজিরা খেয়েও অনেকে সুস্থ হয়েছে।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।