বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা, জবাবে যা বলল পাকিস্তান

পাকিস্তানে বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৪৬৩ জনের। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জনে। এমন পরিস্থিতিতে জারি হওয়া বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করছে পাকিস্তান।

তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পাকিস্তানে দুই সপ্তাহ লকডাউন ও দুই সপ্তাহ লকডাউনমুক্ত থাকার কথা বলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর উত্তরে পাকিস্তান বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুধু স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করেই চিন্তা করছে। কিন্তু সরকারকে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

পাকিস্তানে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই লকডাউন শিথিল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত বুধবার এ কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ডা. জাফর মির্জা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

জাফর মির্জা বলেছেন, ‘আমরা জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনগণের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এ ছাড়া পাকিস্তান সরকার সচেতনতার সঙ্গে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করেছে বলে মন্তব্য করেন ডা. জাফর। তিনি জানান, পাকিস্তানের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে কৌশলগতভাবে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে উদ্দেশ করে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। আমরা জানি, সদস্য দেশগুলোকে পরামর্শ দেওয়া তাদের ভূমিকার মধ্যে পড়ে। কিন্তু তারা স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকেই এসব দেখছে। অন্যদিকে, সরকারকে সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

জাফর মির্জা বলেন, ‘সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় দেশে করোনার হটস্পট শনাক্ত করতে শক্তিশালী ট্র্যাকিং, টেস্টিং ও কোয়ারেন্টিন পদ্ধতিও হাতে নিয়েছে সরকার।