টোকিও অলিম্পিক হবে মানুষের ‘জয়ের প্রতীক’

করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে সারা বিশ্বে। তারপরও আগামী বছর অলিম্পিক গেমস আয়োজনে টোকিও শহরকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি করেছেন টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে। স্থগিত হয়ে যাওয়া গেমসকে আগামী বছর নিরাপদে আয়োজনের জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই গেমস মানুষের ‘জয়ের প্রতীক’ হিসেবেই আয়োজনে টোকিও বদ্ধপরিকর। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোইকে বলেন, ‘গেমস আয়োজনে আমরা শতভাগ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করায় টোকিও অলিম্পিক গেমস ২০২০ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন তারিখ অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে এই গেমস শুরু হওয়ার কথা। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা আগামী বছরও এই গেমস নিরাপদে আয়োজনে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আয়োজক কমিটি ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এরই মধ্যে জানিয়েছে, আগামী বছর না হলে এই গেমস আয়োজন সম্ভব নয়।

অবশ্য শঙ্কা কাটিয়ে নিরাপদে আগামী বছর গেমস আয়োজনে বেশ আশাবাদী আয়োজক কমিটি। বিদেশি অ্যাথলেট, কর্মকর্তা, সমর্থক, গণমাধ্যমকর্মী সবার জন্যই টোকিওকে নিরাপদ করে গড়ে তোলা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন আয়োজক কমিটির প্রধান।

অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান বেশ সফলভাবেই করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৯০০ জনের কিছু বেশি। যদিও অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষার কারণে জাপানকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় সেখানে আক্রান্তের সংখ্যাও কম ধরা পড়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় সম্প্রতি জাপান থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। জাপান সরকার দাবি করেছে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হওয়া ও কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ মানার কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে কমে এসেছে। এ ব্যাপারে কোইকে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে না এলে আগামী বছর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণেই তারা নিজেরাই সতর্কতা অবলম্বন করেছে।’

গেমস স্থগিত হয়ে যাওয়া শেষ পর্যন্ত ব্যয় কত দাঁড়াবে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানও সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। গেমসের দুই-তৃতীয়াংশ স্পন্সর নিজেদের প্রতিশ্রুতি টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। অবশ্য আয়োজকরা বলেছে, এখনো পৃষ্ঠপোষকদের জন্য এই গেমস হতে পারে একটি দারুণ সুযোগ। তাই পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।