করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩২৪৩

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১০৪তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৮১ জন। 

শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৩২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ২৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৮৮-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

তিনি বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৮১ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ হাজার ৯৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৩২ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন। ৩২ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ১৩ জন মারা গেছেন বাসায়।

বুলেটিনে বলা হয়: গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬৮৪ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩৬ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৮১ জন।বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৪ জন।

তিনি বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৮৫ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৩৫ হাজার ২২৬ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৩৭ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৭২ হাজার ১৭২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৫৪ জন।

ডা. নাসিমা জানান: দেশে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৮৫ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৫ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।