করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৮০

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১০৭তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪৮০ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন, দেশের মোট ৬২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬,২৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫,৫৫৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

‘দেশে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হলো ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১,৬৭৮ জন, মোট সুস্থ ৪৬৭৫৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০.৩৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৫০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ৫ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে, বরিশাল বিভাগে ৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১্ জন। হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ১ জনকে।’

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬১৮ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২০ হাজার ৪৩২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪১জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৯৬৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৪৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৬৬৩ জনকে এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৯৭২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৩৫০ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৮৯৬ জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৮ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।