বড় দায়িত্ব মনে করছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক, আকবর আলী

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করবে, এমন ২০ খেলোয়াড়ের তালিকা করেছে। যেখানে আছেন বাংলাদেশের আকবর আলী। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক এটিকে দেখছেন বড় দায়িত্ব হিসেবে।

খেলোয়াড় বাছাই প্যানেলে ছিলেন টম মুডি, ইয়ান বিশপ, রাসেল আর্নল্ড, তামিম ইকবালরা। যুব বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ত্রিশের দশক মাতাবেন এমন ক্রিকেটারের তালিকায় তারা রেখেছেন বাংলাদেশের ‘আকবর দ্য গ্রেট’কে।

ভারতের বিপক্ষে যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে বুক চিতিয়ে লড়াই করে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সম্ভাবনার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। আকবর জানালেন, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যতবাণী যেন বিফলে না যায় সে চেষ্টা করবেন।

‘খেলোয়াড় নির্বাচন প্যানেলে যারা ছিলেন তারা কিংবদন্তি। তারা আমার ভেতরে সম্ভাবনা দেখেছেন, এটা আমাকে উৎসাহিত করছে। এটা বড় একটা দায়িত্ব। নিজেকে যেন সে জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সেই চেষ্টা করব। এজন্য বাড়তি চিন্তা বা বাড়তি কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজেকে কোথায় দেখতে চাই, এমন একটা ছবি তো মনের মাঝে আছেই। সেটা অর্জন করতে যেভাবে আগানো দরকার সেটি নিয়েই ভাবব।’

আকবর সবশেষ ব্যাট, কিপিং গ্লাভস হাতে নিয়েছিলেন ১৬ মার্চ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে। সাউথ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলে আসার পর দেশের মাটিতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে শুরুটা খারাপ হয়নি তার। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে গাজী গ্রুপের হয়ে করেন ৩১ রান।

২৮ বলের ইনিংসে ছিল তিন চার ও সোজা ব্যাটে অসাধারণ এক ছয়ের মার। তার কিছু কিছু শট প্রেসবক্সে থাকা সাংবাদিকদের মাঝেও ছড়িয়েছিল মুগ্ধতা। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট না হলে দলকে হয়ত জিতিয়েই মাঠ ছাড়তেন!

আকবর প্রমাণ দিতে শুরু করেছিলেন বড়দের মঞ্চেও লড়াই করতে প্রস্তুত তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ছন্দ। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে থমকে আছে দেশের ক্রিকেট।

রংপুরে নিজের বাসায় বসেই ফিটনেস ঠিক রাখতে ওয়ার্কআউট করে চলেছেন আকবর। বাড়ির পাশের মাঠ খালি পেলে করছেন রানিং। দীর্ঘদিন ব্যাট-বলের অনুশীলন থেকে আছেন দূরে। আকবর মনে করেন খেলার মাঝে এই বিরতি যত দীর্ঘ হবে, ততই কঠিন হবে সামনে মানিয়ে নেয়া।

‘তিন মাস ধরে স্কিল ট্রেনিংয়ের বাইরে আমরা। সেই কবে প্রিমিয়ার লিগের একটা ম্যাচ খেলেছি। মানিয়ে নেয়া কষ্ট হলেও যত তাড়াতাড়ি ব্যাট-বলের অনুশীলনে ফিরব তত ভালো হবে আমাদের জন্য। যত গ্যাপ হবে, ততই কষ্ট হবে ভবিষ্যতে। তবে দেশের যে করোনা পরিস্থিতি তাতে কিছু করারও নেই, এভাবে দিন কাটানো ছাড়া।