সরদার রোকনের ঈদ কেন্দ্রিক নাটক ‘যে বিকেল বিষণ্ণ’

সম্প্রতি শুটিং শেষ হয়েছে ‘যে বিকেল বিষণ্ণ’ । আহমেদ তাওকীরের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন সরদার রোকন । 

গল্পে দেয়া যায়, রায়হান গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় পুরাতন একটা সাইকেল চালায় দ্রুত গতিতে। তাকে খুব উৎফুল্ল দেখা যায়। সে ধীরে ধীরে তার সাইকেল চালানোর গতি বাড়ায়। রায়হান সাইকেল চালিয়ে তানিয়াদের বাড়ির সামনে গিয়ে থেমে বাড়ির ভিতরের দিকে তাকায়।

সে কিছু বুঝতে পারে না সেদিকে তাকিয়ে। একটু পরেই সে ভীষণ হতবাক হয়ে যায় বাড়ির উঠানে কিছু দেখে। কিন্তু সে কি দেখে? সেটা দেখা যায় না। রায়হান চুপচাপ কেবলই সেদিকে তাকিয়ে থাকে। তার চোখে প্রায় পানি চলে আসে।

রায়হানের বাবা আব্দুর রহমান সেদিন তার সাইকেল চালিয়ে অফিস যাওয়ার সময় গ্রামের দোকানের সামনে পড়ে গিয়ে বিব্রত হয়, দোকানে বাকী থাকায়। আব্দুর রহমান ভুমি অফিসের সামান্য টাইপিস্ট! সে দোকানদারের কাছে অপমানিত হয়ে চলে যায় চুপচাপ। তখন তার ছেলে রায়হান, গ্রামের অন্য রাস্তায় তার ভালোবাসার মানুষ তানিয়ার কাছে অপমানিত হয় বেকার হওয়ায়! এদিকে তানিয়া প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক!

হঠাৎ একদিন রায়হান হতবাক হয়ে যায় বাবার আকস্মিক এই মৃত্যুতে। বাড়িজুড়ে কেবল বাবার ঘ্রাণ পায় সে। কিছুদিন পর রায়হান তার চাকরির পরীক্ষার ফলাফলের খোঁজ খবর নেয়। তার একটা চাকরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়।

তখন তানিয়া জানায় তার মা সৌদি প্রবাসী এক ছেলের সাথে তাকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রায়হান হতবাক হয়ে যায় একথা শুনে। সে জানায় চাকরিটা হয়ে গেলে সে নিজে গিয়ে তানিয়ার মায়ের সাথে কথা বলবে। চাকরি কি হবে? বিয়ে কি হবে রায়হান-তানিয়ার?

এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘যে বিকেল বিষণ্ণ’ নামের নাটক। গত সপ্তাহে পুবাইলে এই নাটকের শুটিং শেষ হয়। ‘যে বিকেল বিষণ্ণ’ শিরোনামের নাটকটি নির্মাণ করছেন সরদার রোকন এবং রচনা করছেন আহমেদ তাওকীর।

রোনা প্রকোপের কারণে ৭২ দিন শুটিং বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে টিভি নাটকের শুটিং শুরু হয়েছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শুরু করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও  তাসনুভা তিশা দু’জনই ছোটপর্দার এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী।

সরদার রোকন বলেন, গল্পের মধ্যে ভিন্নতা খুঁজে পাবেন দর্শক জোভান-তিশা দু’জনে দারুণ অভিনয় করেছেন। আশা করছি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।

অর্ক মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত ‘যে বিকেলে বিষণ্ণ’ নাটকটিতে জোভান ও তিশা  ছাড়াও এতে  অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, সুমন আহমেদ, সুমাইয়া মিতু,স্বপ্না,প্রমুখ।

আগামী ঈদুল আজহায় দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে।