করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮০৯

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১১৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন।

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি। আগের কিছু সহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ৮০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। মোট আক্রান্তের শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৩৮-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪০৯ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বলেন: যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৪ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন এবং আশি বছরের বেশি ১ জন।

তাদের মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন ও রংপুরে বিভাগে ১ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন। যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ১ জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫৪ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।