সনদ ইউনানির, অথচ তিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, মিজানুর রহমান

ইউনানির সাময়িক সনদ নিয়েই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ১২ বছর ধরে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। আজ রোববার র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩) অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-৩। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

অভিযান শেষে পলাশ কুমার বসু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার সময়ে হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার জীবন এখন এমনিতেই ঝুঁকির মুখে। এ অবস্থায় ভুয়া চিকিৎসকদের অপতৎপরতা নজরদারি করছেন গোয়েন্দা সদস্যরা। বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভুয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ থাকায় দুজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

পলাশ কুমার বসু আরো বলেন, ‘মিজানুর রহমান ১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি ইউনানির সাময়িক অনুমোদন নিয়েই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইউনানি নীতিমালা অনুযায়ী এটা করা যায় না। এ ছাড়া তিনি প্রেসক্রিপশনে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসছিলেন। শুধু তাই নয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এমফিল ডিগ্রির বিষয়ও তুলে ধরছিলেন।’

এ ছাড়া হাসপাতালের অ্যাসিসটেন্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ‘ইসালামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ রাখার দায়ে শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে দুজনের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’