তিনদিনে ভারতে সর্বোচ্চ এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত

‘ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ থেকে বেড়ে আট লাখে পৌঁছাতে সময় লাগলো মাত্র তিনদিন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৫ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৮ লাখ ২০ হাজার ১৪ জনে।

গত জুনে মাসে ভারতে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত ৪ থেকে ৫ লাখ পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৬ দিন, এরপর ৫ থেকে ৬ লাখ হয়েছিলে মাত্র ৫ দিনে। আর ৬ থেকে সাত লাখে যেতে সময় লাগে চারদিন। এবার সাত থেকে আট লাখে যেতে তো সময় লাগলো মাত্র তিনদিন।

রাজ্যভিত্তিক হিসাবে ২ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানটি তামিলনাড়ুর; সেখানে সংক্রমণ এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এক লাখ ৭ হাজারের বেশি। বিশ্বের শীর্ষ সংক্রমিত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়।

মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানাসহ ভারতের আটটি রাজ্যে দেশটির মোট করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর ৯০ শতাংশ রয়েছে। এই আটটি রাজ্যের ৪৯টি জেলা থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমণের খবর মিলেছে বলেছে শুক্রবার সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা আশঙ্কা করেছিলেন এখন তা–ই ঘটছে। দেশ থেকে লকডাউন তুলে দিয়ে শুধু বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলো লকডাউন, যাত্রীবাহী ট্রেন, বিমান ও সড়কপথে বাস সেবা চালুর পর থেকে ভারতে ব্যাপক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিন রেকর্ড হচ্ছে সর্বোচ্চ সংক্রমণের।

তবে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ভারতের কথিত লকডাউন আরও শিথিল হচ্ছে। ভারত যত স্বাভাবিক হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ তত বাড়ছে এবং সংক্রমণ যত বাড়ছে নিষেধাজ্ঞাগুলোও তত বেশি করে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে হচ্ছে। ভারতের বর্তমান করোনা সংক্রমণের চিত্র এমনটাই,