স্টোকসকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলেন হোল্ডার

‘শেষদিনের রোমাঞ্চের জন্য মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল। দেখার ছিল তুলির শেষ আঁচড়টা কে দেন- স্টোকস না হোল্ডার? নাকি তাদের দল ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোল্ডারের ক্যারিবীয় বাহিনীই শেষ হাসি হেসেছে, জয়ের ক্যানভাস বুনে। সাউদাম্পটন টেস্টে ৪ উইকেটের দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছে উইন্ডিজ।

ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই যেমন জমে উঠেছিল, পাল্লা দিয়ে জমে উঠেছিল স্টোকস-হোল্ডারের ব্যক্তিগত লড়াইও। সব বিভাগেই জয় আইসিসির সেরা টেস্ট অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের। ব্যাটে রান না পেলেও প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন, দু-ইনিংসে দুবার আউট করেছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বেন স্টোকসকে।

সাউদাম্পটনে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডকে ২০৪ রানে আটকে দিয়েছিল। পরে নিজেরা ৩১৮ রানের সংগ্রহ এনে প্রথম ইনিংস থেকেই ১১৪ রানের লিড নেয়।

সিরিজের প্রথম টেস্টে চতুর্থ দিনে স্বাগতিকরা জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ২৮৪ রানে পৌঁছায়। শেষদিনে বাকি ২ উইকেটে আরও ২৯ রান যোগ করে, ৩১৩ রানে থামে দ্বিতীয় ইনিংসে।

তাতে সফরকারীদের সামনে ঠিক ২০০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। যা ৪ উইকেট অক্ষত রেখেই ছুঁয়ে ফেলে উইন্ডিজ।

রোববার লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে শুরুটা ভালো হয়নি উইন্ডিজের। দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েট ৪ ও ক্যাম্পবেল ৮ রানে দ্রুত ফিরে যান। শাই হোপ ৯ ও রানের খাতা খোলার আগেই ব্রুকস সাজঘরে হাঁটা দিলে বিপদ বাড়ে।

সেখান থেকে রোস্টন চেজ ও জার্মেইন ব্লেকউডের লড়াই শুরু। চেজ ৩৭ করে ফিরে গেলেও শেন ডওরিচ ২০ রানে ব্লেকউডকে দারুণ সঙ্গ দেন।

একপাশ আগলে রাখা ব্লেকউড মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হারানোর হতাশায় ডুবেছেন। তবে ফেরার আগে ম্যাচ জেতার কাজের কাজটা করে গেছেন। ১২ চারে ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। শেষদিকে হোল্ডার অপরাজিত ১৪ রানে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেই ফেরেন।

প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে ৬ উইকেট নেয়া হোল্ডার পরের ইনিংসে নিয়েছেন ১ উইকেট। স্টোকসকে প্রথম ইনিংসে ফিরিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিরিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। বিশ্বের সেরা দুই টেস্ট অলরাউন্ডারের লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে তাতে।

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল পরের ইনিংসে নিয়েছেন ৭৫ রানে ৫ উইকেট। ম্যাচসেরাও তাই ৩২ বছর বয়সী এ পেসার।,