ব্রিটেনে করোনায় বেতনভুক্ত শ্রমিক কমেছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার

‘করোনা মহামারিতে গত চার মাসে যুক্তরাজ্যে বেতনভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার । ব্রিটিশ সরকার মার্চ থেকে জুনের পরিসংখ্যানে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।,

সূত্র : বিবিসি

‘প্রতিবেদনে জানা যায়, এই সময়টাতে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি ছাঁটাই এবং অল্প পরিসরের ব্যবসা বন্ধ থাকায় বেকারত্বের হার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। তাই সরকারের পরিসংখ্যানকে দ্বিমত পোষণ করে অনেকে বলছে করোনার কারণে যুক্তরাজ্যে বেকার হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।

দেশটিতে অর্থনীতির নিম্নমুখী প্রবণতায় বেকারসংখ্যা বাড়লেও বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের কর্মসংস্থান বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ছুটিকে কাজে লাগিয়ে কর্মীদের চাকরিতে বহাল রেখেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অক্টোবর মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনও যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থানে  বেকারত্বের পুরো প্রভাব বোঝা যাবে না।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) জানিয়েছে, করোনভাইরাস মহামারির শুরুর পর থেকে যুক্তরাজ্যে মোট সাপ্তাহিক কর্ম ঘণ্টা ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তবে এর আগে ১৯৭১ সালে হঠাৎ যুক্তরাজ্যে কর্মঘণ্টা হ্রাস পায় এবং সবচেয়ে হ্রাস পায় ১৯৯৭ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত।,

এক সমীক্ষয় দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে যুক্তরাজ্যে চাকরিতে অসংখ্য খালি পদ তৈরি হতে থাকে। তবে এর আগে ২০০১ সালে দেশটিতে কর্মসংস্থানে কমে ২৩ শতাংশে নেমে যায়, এরপর ২০০৯ সালে জুনেও একই চিত্র দেখা যায়।

ওএনএস বলছে, যুক্তরাজ্যে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এ বছর প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ বেকার হয়েছে, এবং অন্যান্য বয়সী মানুষের বেকারত্বের হার আগের মতোই বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যারা চাকরি হারিয়েছে তারা অন্য কোন জায়গায় পরে আর চাকরি খোঁজেনি, তাই তাই বেকারদের চেয়েও দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

আর্থিক সেবা সংস্থা ইকুয়ালসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জেরেমি থমসন-কুক বলেছেন, সরকারি ছুটির স্কিমের আওতায় বিবেচনা করলে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এখনও চাকরি হারায়নি। যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে একটা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।,