আশুরায় সব ধরনের তাজিয়া ও শোক মিছিল নিষিদ্ধ

 

`করোনা মহামারির কারণে এ বছর পবিত্র আশুরা পালন উপলক্ষে রাজধানীতে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমামবারায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং–ওওও/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের তাজিয়া বা শোক বা পাইক মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমামবারাসমূহে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘অনুষ্ঠানস্থলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আঁতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।’

এবং ‘এই আদেশ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হতে শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে’ বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মোহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদের তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ জন্যই যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ দিনটি পালন করে।

বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত হয়। দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকে।,