সিনহা হত্যা মামলায় প্রথম স্বীকারোক্তি

`অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একজন কনস্টেবল আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আলোচিত এ মামলায় এই প্রথম কোনো আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন।

কক্সবাজার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস রাতে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, জবানবন্দি গ্রহণের পর র‍্যাব আসামিকে আদালত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। রাতেই আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।

এপিবিএনের আরো দুই সদস্য এখনো র‍্যাবের রিমান্ডে রয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজিব। তিন এপিবিএন সদস্য ৩১ জুলাই রাতে সিনহা নিহতের সময় শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত ১৮ আগস্ট তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ২২ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। এই তিন সদস্যকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে।

পরে ৫ আগস্ট মেজর সিনহা হত্যার বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১), উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এঁদের মধ্যে শেষ দুজনের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

এ ছাড়া সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজারের বাহারছড়া এলাকার মো. আয়াছ, মো. নুরুল আমিন, মো. নাজিমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফা রিমান্ডে পায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা।

এদিকে পুলিশের দায়ের করা মামলায় দুই আসামি সিনহা রাশেদের দুই সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং অপর সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ জামিনে মুক্ত হন।,