বেলারুশে প্রয়োজনে পুলিশ পাঠাবেন পুতিন

‘বেলারুশে সরকার বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে বিশেষ পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর অনুরোধে তিনি এ বাহিনীকে প্রস্ততি নিতে বলেন। প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে এই বিশেষ পুলিশ বাহিনী বেলারুশে পাঠানো হবে বলেছেন পুতিন।

সূত্র : সিএনএন

সাম্প্রতিক সময়ে রুশ সরকার বেলারুশের সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বার বার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সেই অঙ্গীকারেরই একটি পদক্ষেপের কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার এক টিভি সাক্ষাতকারে গতকাল পুতিন বলেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো আমাকে একটি পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রাখতে বলেছেন এবং আমি তাই করেছি।

তবে তিনি এটাও নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে না।

গত ৯ আগস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেলারুশে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবি করে গত কয়েকদিন ধরেই রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে সাংবাদিকরাও। এতে কমপক্ষে ১৩ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

নির্বাচনে দেখা যায়, ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন লুকাশেঙ্কো। আর তার প্রধান বিরোধী সভেতলানা তিখানোভস্কায়া পেয়েছেন ৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। এই ফলাফল অস্বীকার করছেন বিক্ষোভকারীরা।

পুতিন বলেন, বেলারুশ ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়। দেশটিতে সংকট শুরু হয়েছে। এতে উগ্রপন্থী গ্রুপগুলো নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করছে। এরা সশস্ত্র ডাকাতি শুরু না করলে এবং গাড়ি, ঘরবাড়ি, ব্যাংকে আগুন লাগিয়ে সরকারি ভবন দখল করার চেষ্টা না করলে রাশিয়ার বাহিনী বেলারুশে প্রবেশ করবে না।

তিনি যোগ করেছেন যে, সামগ্রিকভাবে, যদিও পরিস্থিতি এখন আমাদের ধারণার বাইরে। তবে রাশিয়ার এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতুয়েজ মোরাভিয়েস্কি।

তিনি বলেছেন, পুতিনের এমন পরিকল্পনা ঠিক হচ্ছে না। পরিকল্পনাটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।,