১৯৬৩’র চেতনায় ওয়াশিংটনে বর্ণবাদবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ

`বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষোভ আর দাবিগুলোকে ঐতিহাসিক পটভূমিতে দাঁড় করাতে, তাদের প্রবাদপ্রতীম প্রয়াত নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু, সবটাই ডেমোক্র্যাটদের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৬৩ সালের আগস্ট। ওয়াশিংটন ডিসির লিঙ্কন মেমোরিয়াল হলে কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে জড়ো হয়েছিল কৃষ্ণাঙ্গরা। এতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ স্বপ্নদ্রষ্টা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

সূত্র :  দ্য নিউইয়র্ক টাইমস 

সমাবেশে আসা মানুষের হাতে হাতে ছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান খচিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা। এ সমাবেশে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেয় মার্টিন লুথার কিংয়ের নাতনি ইওলানদা রিনি কিং।

বারো বছর বয়সী ইওলানদা রিনি কিং বলে, ‘বর্ণবাদ প্রথাকে বিলুপ্ত করতে আমরা জড়ো হয়েছি। এবার যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদকে নিঃশেষ করব। পুলিশের নির্মমতা ও বন্দুক সহিংসতা শেষ করব আমরা। আমরা করব জয়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে এ ধরণীকে রক্ষার প্রত্যয়ও রয়েছে আমাদের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিরতরে দারিদ্রকে শেষ করতে চাই। বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী রাষ্ট্র হবে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা করব জয় নিশ্চয়ই।’

সম্প্রতি কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড ও জ্যাকব ব্লেকের ওপর শেতাঙ্গ পুলিশের গুলির প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সমাবেশে যোগ দিয়েছে তাঁদের পরিবারও। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে সমর্থনও জানান তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে ওয়াশিংটন ডিসি হয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এ আন্দোলন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, বর্ণবাদবিরোধী এই সমাবেশ, নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা মাত্র।,