লাদাখে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে ভারতের বিশেষ সেতু, চীনকে পাল্টা চোখ রাঙানি!

‘চীনকে রুখতে ভারতকে এগোতে হবে। আর এ লক্ষ্যেই এবার লাদাখের দুর্গম পথগুলো সুগম করে তুলতে কাজে লেগেছে ভারতীয় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। জানা গেছে, শায়ক নদীর হিমশীতল পানির ওপর দিয়ে ভারত বিশেষ সেতু তৈরি করছে, যা সারা বছর ব্যবহার করা হবে। এবং কৌশলগতভাবে ভারতের এই সেতু নির্মাণ এক বড় চাল,।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়ার

‘বলা হচ্ছে, ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় তৈরি এই সেতুর সাহায্যে লেহ থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার স্ট্রিপে যাওয়া আরো সহজ হবে। কয়েক মাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। চীনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক, যা মেনে নিতে নারাজ ভারত।

ভারতের দিকে গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করা নিয়েই চীনের মূল আপত্তি। এই রাস্তা তৈরির ফলে সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যাতায়াত এবং নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে। তবে পরপর সংঘর্ষ ও চীনের আপত্তি সত্ত্বেও ভারত এই রাস্তা তৈরির কাজ জারি রাখবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আকসাই চীন এলাকায় পিএলএর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর সেই হুমকি রুখতেই ভীষ্ম টি৯০ ট্যাঙ্কের একটি স্কোয়াড্রন, অর্থাৎ ১২টি ট্যাঙ্ক সেখানকার সীমান্ত রক্ষার লক্ষ্যে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এ ছাড়া চার হাজার সৈনিকের একটি আস্ত ব্রিগেডও সেখানে ডিবিওতে মোতায়েন করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, এই নতুন সেতু তৈরি হওয়ায় ডিবিওতে সড়কপথে ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া আরো সহজ হয়ে যাবে।

উত্তর লাদাখে ভারতের অন্তিম পোস্ট দৌলত বেগ ওল্ডি। সেই ডিবিওর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে। এহেন দৌলত বেগ ওল্ডির ওপর নজর দিচ্ছে চীনা সোনা। দেশের উচ্চতম এয়ারবেসকে শত্রুর নজর থেকে বাঁচাতে তাই কয়েক দিন আগেই কারাকোরাম পাসের কাছেই ভীষ্ম টি৯০ ট্যাঙ্কের স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা। আর এবার সেই এলাকায় যাতে যেকোনো সময় সেনা পাঠানো যায়, তাই তৈরি করা হলো এই নতুন সেতু।

এদিকে লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে গ্রিন টপের ওপর থেকে চীনা সেনা দখলদারি সরাতে না চাওয়ায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরো তিক্ত হচ্ছে চীনের। জানা গেছে, রোববার মোলডোতে অনুষ্ঠিত ভারত-চীন বৈঠকেও দিল্লির পক্ষ থেকে পিএলএকে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়। তবে চীনা সেনা এই বিষয়ে একগুঁয়ে মনোভাব পোষণ করছে। আর এতেই আরো পারদ চড়ছে সীমান্তে।

হটস্প্রিং থেকে সরে গেলেও চীন এখনো অবস্থান করছে প্যাংগংয়ে। সেখানকার গ্রিন টপ থেকে ভারতের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় গতিবিধির ওপর। লাদাখে ভারত-চীন উত্তেজনা কমার কোনো নাম নেই। যেই প্যাংগং সো নিয়ে এত বিতর্ক, সেখানে চীনা সেনারা ফিঙ্গার ৫-এ ফিরে এসেছিল, তবে তারা এখনো ফিঙ্গার ৪-এর রিজলাইন দখল করে রয়েছে। চীনা সেনারা ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮-এর মধ্যকার ৮-কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে তাদের তৈরি কাঠামোগুলোকেই এলএসি বলে দাবি করে যাচ্ছে এখনো।,