বিধ্বস্ত লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ক্ষোভের বিস্ফোরণ

‘ভয়াবহ বিস্ফোরণে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তা নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বিক্ষুব্ধ জনগণ সেদেশের সরকারি কার্যালয়গুলোতে হামলা চালিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েক হাজার রাজপথে নেমে আসে। সে সময় পাথরনিক্ষেপরত বিক্ষোভকারীদের রুখতে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রীয় শহীদ স্কয়ার থেকে গুলির শব্দও শোনা যায়।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেন, সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে তিনি দ্রুতই নির্বাচন চাইবেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক সংসদ নির্বাচন না করে দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না। সোমবার মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

গত মঙ্গলবার ২ হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ রোধ করতে সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ লেবাননের অনেক বাসিন্দা।

৬ বছর আগে একটি জাহাজ থেকে এসব জিনিস জব্দ করা হয়েছিল, কিন্তু কখনও তা স্থানান্তরিত করা হয়নি। যদিও এ ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।

বন্দর এলাকায় ঘটা ওই বিস্ফোরণ শহরের বিভিন্ন অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ঘটনার পর অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনৈতিক শ্রেণির প্রতি লেবাননবাসীর অবিশ্বাস আরও গভীর করে তুলেছে।

গত অক্টোবরেও অর্থনৈতিক সঙ্কটকে ঘিরে সরকারবিরোধী একটি প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছিল লেবাননে।

রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরকজাতীয় রাসায়নিক পদার্থের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় চার হাজারেরও অধিক মানুষ।

বিস্ফোরণে বন্দরের বেশিরভাগ এলাকা বিধ্বস্ত হয়। রাজধানীর আশপাশের ভবন ও পার্ক করা গাড়িগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিধ্বস্ত হয় অনেক ঘরবাড়ি।,