ইংল্যান্ডের শিশুরা স্কুলে ফিরেছে

পাঁচ মাসের বেশি সময় লকডাউনের পর স্কুলে ফিরেছে ইংল্যান্ডের শিশুরা। কয়েক লাখ শিশু পুনরায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে স্কুলের চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। শিশুরা আগের মতো এক সঙ্গে বসতে পারবে না। তাদের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। শিশুদের এসব নতুন বিধি-মালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে যেন তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। কোথায় কোথায় সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে সেটাও তাদের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে।

সূত্র : বিবিসি
প্রতিবেদনে জানায়, প্রতিটি স্কুলের ডেস্ক নতুন করে সাজানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী থেকে অপর শিক্ষার্থীর দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি শিশুদের কলম, পেন্সিল এবং ক্লাসরুমের অন্যান্য জিনিসপত্র আলাদা আলাদা প্যাকেটের মধ্যে রাখা হবে। যেন একজনের জিনিস অন্যজন স্পর্শ করতে না পারে।

প্রায় পাঁচ মাস আগে ইংল্যান্ডের সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন। করোনার বিস্তার যেন শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে এখনই সব শিশুদের স্কুলে আনা হচ্ছে না। অনেক শিক্ষার্থীই এখনো বাসায় বসেই পড়াশোনা করছে। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনার এই আবহে ঠিক কতজন মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন- তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এদিকে ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি মেরি বুসটেস সব কিছুর ব্যবস্থা করার জন্য স্কুলের স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।,