হাসপাতালের বিল মেটাতে পুত্রকে এক লাখ টাকায় বিক্রি

‘সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় রিকশা চালান শিব চরণকে। এ অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তাঁর স্ত্রী ববিতা। সেখানে বিল হয় মোট ৩৫ হাজার টাকা। এত টাকা দেওয়ার সাধ্য শিব চরণের নেই। তাঁর দাবি, তখন হাসপাতাল প্রস্তাব দেয়, এক লাখ টাকায় সাত দিনের ছেলেকে বিক্রি করে দিতে। আর সেটাই তাঁরা করেছেন। ছেলেকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন এবং বাকি ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন শিব চরণ ও ববিতা দম্পতি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আগ্রার একটি হাসপাতালে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে আগ্রার জেলাশাসক প্রভু এন সিং বলেন, এটা রীতিমতো গুরুতর ঘটনা। এর তদন্ত হবে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

শিব চরণ ও ববিতার পাঁচ সন্তান। তাঁরা আগ্রার শম্ভু নগরে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকেন। রিকশা চালিয়ে দিনে একশ টাকার বেশি পান না। তাঁর ১৮ বছর বয়সী বড় ছেলে একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করত। লকডাউনের পর সেই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

শিব চরণ বলেন, ববিতার প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ববিতার সিজারিয়ান করা হয়। কিন্তু তাঁদের কাছে বিল দেওয়ার টাকা ছিল না। তাঁরা কেউ লেখাপড়া জানেন না। তাই যেখানে সই করতে বলা হয়েছে, সেখানে তাঁরা টিপসই দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল তাঁদের কোনো বিল বা কাগজ দেয়নি। এবং এক লাখ টাকায় ছেলেকে বিক্রি করে তাঁরা চলে এসেছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, শিব চরণই তাঁর বাচ্চাকে স্বেচ্ছায় ফেলে রেখে চলে গেছেন।,