কীর্তি অম্লান

রমেশ নাথ

১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালি জাতির আত্মার আবির্ভাব ঘটেছিল। যার জন্ম হয়েছিল জনকল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নের্তৃত্ব দিয়ে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে। তাঁর স্বপ্ন ছিল সোণার বাংলার সোণার মানুষ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। তাই বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম। এবার তাঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদের জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা তাঁরই হাতে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে এই দিনটি। তবে এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এবং প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালে যেমন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তেমনি বর্তমানে মানব শত্রু করোনা মোকাবেলায় আর্তমানবতার পাশে দাড়িয়েছে তারা। বঙ্গবন্ধুও দেশ এবং মানবজাতির কল্যাণ ছাড়া আর কিছু বুঝতেন না। ধর্ম যা বলে ত্-াই তিনি করে গিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সঠিক ছিল, তাই আজ তার বাস্তবায়ন ঘটছে।
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র।