ইউটিউব চ্যানেল নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা ভাবছে সরকার

‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘ইউটিউব চ্যানেল খুলে যে যার মতো কনটেন্ট ছেড়ে দিচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। প্রচলিত গণমাধ্যমের মতো চ্যানেলগুলো মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে এক ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়। চ্যানেলগুলোকে নজরদারির আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও দেখভালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারের এই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ইউটিউবের স্থানীয় সব চ্যানেল নিবন্ধনের আওতায় আনার বিষয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন মোজাম্মেল হক।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন।

এ ছাড়া বৈঠকে অনলাইনে যুক্ত হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দেশে যেকোনো বড় ধরনের ঘটনা তদারকি করতে সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, বড় কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এই কমিটির কাছে জমা দেবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি করার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।,