প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মাঝে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু করা হবে

‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু করা হবে। এটার ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের অনেক ধরনের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিনিয়র সচিব আকরাম-আল হোসেন। এ সময় মিড ডে মিল প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

খিচুড়ি রান্না শিখতে এক হাজার কর্মকর্তা বিদেশ যাচ্ছেন- এমন একটি সংবাদ গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হয়। আজ আবার বিভিন্ন পত্রিকায়ও একই সংবাদ দেখা গেছে। গতকাল থেকেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা এ নিয়ে বিভিন্নজনের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনকেও আজকে সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি এর জবাবে বলেন, “খিচুড়ি কীভাবে রান্না করে সেটা দেখা বা শেখার জন্য কিন্তু আমরা বিদেশে লোক পাঠাচ্ছি না। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মিড ডে মিল’ সঠিক বাস্তবায়নের জন্য বিদেশে কয়েকজন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।’’

প্রকল্পের বিষয়টি তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুল ফিডিং পলিসির আওতায় ১৯ হাজার ২৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করেছে। বর্তমানে এ প্রকল্পটি ১০৪টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। এটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।’

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হবে বলে জানান সচিব। তিনি আরো বলেন, ‘সেই নির্বাচনী ইশতেহারকে সামনে রেখে আমরা ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা প্রকল্প প্রণয়ন করেছি।’ ‘অন্যান্য দেশের স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল কীভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য অতি অল্প অর্থ ব্যয়ে একটি কর্মসূচি রাখা হয়েছে। এ অর্থ ব্যয় কোনো অপচয় নয় বরং অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাটা রাখা হয়েছে।’

সচিব আরো বলেন, ‘এ প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন হয়নি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যের সভাপতিত্বে এটার পিইসি মিটিং ছিল। মিটিং থেকে প্রকল্পটির বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলোর জবাব দেব। জবাবের পর যদি তারা সন্তুষ্ট হয় তাহলে একনেক বৈঠকে উত্থাপিত হবে। একনেকে অনুমোদিত হলে জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন করতে পারব।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পরিকল্পনা কমিশন এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দেবে কি না, সেটি তাদের বিষয়। বাচ্চাদের আমরা দুপুরে দুই ধরনের খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। তিন দিন বিস্কুট এবং তিন দিন রান্না করা খাবার। বর্তমানে ছয় দিন বিস্কুট দেওয়া হয়। রান্না করা খাবারের মধ্যে খিচুড়িটি সবচেয়ে প্রোটিন-সমৃদ্ধ।,