গত ১২ বছরে পারেননি, চার বছরেই র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে : কাজী সালাউদ্দিন

‘আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। যেখানে মূল লক্ষ্য থাকছে জাতীয় দলের র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৫০-এর মধ্যে নিয়ে আসা।

কাজী সালাউদ্দিনের এ ঘোষণায় চরম সমালোচনা হচ্ছে। গত ১২ বছরে যাঁরা পারেননি জাতীয় দলের র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটাতে, তাঁরা কি পারবেন আগামী চার বছরে ভালো কিছু করতে? সাবেক তারকা ফুটবলার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক এমনটাই মনে করেন।

আমিনুল হক বলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিন তিন মেয়াদে বাফুফে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম, তাঁর অধীনে দেশের ফুটবলে একটা জাগরণ হবে। কিন্তু তিনি চরম ব্যর্থ হয়েছেন। বরং তাঁর সময়ে দেশের ফুটবল সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেছে। র‍্যাঙ্কিংয়ে আমাদের দল একসময় ১৯৭তম স্থানে চলে গিয়েছিল। গত ১২ বছরে যিনি পারেননি, আগামী চার বছরে তা পারবেন বলে আমার মনে হয় না।’

সালাউদ্দিনের কড়া সমালোচনা করেছেন সভাপতি পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেন, ‘গতবার উনি ২৫টি ইশতেহার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মাত্র চার-পাঁচটি পূরণ করতে পেরেছেন, বাকি সব ক্ষেত্রেই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আবার তিনি লম্বা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতবার ও এবারের ইশতেহার, সবই আসলে ফেক। আমরা কথায় বিশ্বাস করি না। কাজে বিশ্বাস করি।’

সাবেক এই ফুটবলার এবং বর্তমান কোচ আরো বলেন, ‘গত ১২ বছরে উনি চরম ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার কারণ উনি নিজেই, যেহেতু উনি ওই চেয়ারে বসেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলপ্রেমী। এভাবে মানুষকে ঠকানো উচিত নয়।’

সালাউদ্দিন ফুটবলারদের সম্মান করেন না বলেও মনে করেন মানিক, ‘উনি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়। কিন্তু উনি আজ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়দের সম্মান দিয়ে কথা বলেননি। এটা ঠিক হয়নি। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়দের পূর্ণ সম্মান দেওয়া উচিত।’

আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সালাউদ্দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় দল, ঘরোয়া ফুটবল, নারী ফুটবল, উন্নয়ন প্রকল্প ও টেকনিক্যাল দিক নিয়ে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় দলের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৫০ এবং জাতীয় নারী দলের র‌্যাঙ্কিং ৯০-এর মধ্যে নিয়ে আসা।,