১০ বছর কোনো আয়কর দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প

দুই দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড় ধরনের কর ফাঁকি দিচ্ছেন, এমন তথ্যসংবলিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গতকাল রোববার প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য যথারীতি একে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসেস (আইআরএস) সূত্রের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ পেয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে, আমি কর দিয়েছি। অচিরেই সবাই আমার কর দেওয়ার বৃত্তান্ত দেখতে পাবেন। দীর্ঘ সময় ধরে অডিট চলছে। আইআরএস আমাকে বাজেভাবে দেখে। আইআরএসে (পত্রিকার) লোকজন রয়েছে।’

২০১৮ সালে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক আয় সাড়ে ৪৩ কোটি ডলার হলেও চার কোটি সাত লাখ ডলার লোকসান দেখানো হয়েছিল বলে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লবিস্ট, বিদেশি এজেন্ট ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিদেশিদের কাছ থেকে সাত কোটি ৩০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদন আরো বলছে, ২০১৮ সালে ট্রাম্পের নতুন বিনিয়োগ ছিল ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অথচ ওই বছরই মায়ামির গলফ রিসোর্টে ট্রাম্পের লোকসান দেখানো হয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের লোকসান দেখানো হয় সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার এবং আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে গলফ রিসোর্টে লোকসান ধরা হয় ছয় কোটি ৩০ লাখ ডলার।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত নামেও ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেখানো হয়েছে, যা আগামী চার বছরের মধ্যে পরিশোধের কথা রয়েছে। অথচ ট্রাম্প তাঁর চুলের স্টাইলের জন্যই বছরে খরচ করেন ৭০ হাজার ডলার।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের হিসাব বলছে, ১৮ বছরে ট্রাম্প আয়কর দিয়েছেন সাড়ে ৯ কোটি ডলার।

১৯৭০ সালের পর ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি নিজের আয়কর বিবরণী প্রকাশ করেননি। যদিও প্রেসিডেন্টের জন্য তা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয়।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের কয়েক দিন আগে এমন প্রতিবেদনে বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাম্প। কয়েক সপ্তাহ পর আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।,