আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দেওয়া : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পানি ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যে দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দিতে হবে। কিন্তু আমাদের মাটির উপরিভাগের পানি ব্যবহার করতে হবে। সেচ অথবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরিস্থ ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে যেন বিশেষ দৃষ্টি দিই।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সারা দেশে খাল, বিল, হাওর, পুকুর, নদী—যা আছে, সবগুলোর যেন নাব্য থাকে, সেগুলো খনন করা, পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়—এতে দুটি কাজ হবে, একটি হলো আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, আমাদের মৎস্য উৎপাদনও বাড়বে।’

২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পানি ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে উদ্ভূত নানা দুর্যোগ মোকাবিলাসহ শতবর্ষী ‘ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে যুগোপযোগী ও আধুনিক কর্মপরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নীতিনির্ধারণী লক্ষ্য নিয়ে ‘পানি ভবন’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি, অনুমোদন ও পরামর্শে ‘পানি ভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৫৪ ও ১৯৫৫ সালের উপর্যুপরি ভয়াবহ বন্যার পর জাতিসংঘের অধীনে গঠিত ক্রুগ মিশনের সুপারিশক্রমে সেচ ব্যবস্থা, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ পানিসম্পদের উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা) গঠিত হয়।

১৯৭২ সালে ইপিওয়াপদার ‘পানি উইং’ নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) নামে স্বতন্ত্র একটি সংস্থা করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব প্রকৌশলীদের নকশায় প্রায় চার লাখ ২০ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর।

কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পানি ভবনে সোলার প্যানেল, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার রিজার্ভয়ারের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাসহ ৫৩৬ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অডিটোরিয়াম, ৪৫০০ বর্গফুটের হেলিপ্যাড, ৩৭৬টি গাড়ি পার্কিংসহ অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও রয়েছে।

এ ছাড়া এই কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিবিজড়িত পুকুরটি (২১ হাজার ৪৮৪ বর্গফুট) সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং ২০ হাজার ৬২৫ বর্গফুটের একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।,