প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে ‘নগদ’

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’- এর মাধ্যমে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে গত ৫ অক্টোবর এই নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। এর ফলে উপবৃত্তি বিতরণে সরকারি খরচ এক তৃতীয়াংশ কমবে।

শনিবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় সূত্রে জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ‘শিউরক্যাশ’ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার মাধ্যমে এই উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছিল। তবে ক্যাশ আউট চার্জ ও ডেটা ম্যানেজমেন্টের জন্যে হাজারে সব মিলিয়ে সাড়ে ২১ টাকা সরকারের কাছ থেকে নিতো তারা। তবে ‘নগদ’ হাজারে মাত্র সাড়ে সাত টাকায় পুরো সেবা দেবে।

কয়েকদিনের মধ্যেই নগদের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চুক্তি সম্পন্ন হবে। নতুন এই চুক্তির আওতায় গত এপ্রিল-মে এবং জুন এই তিন মাসের উপবৃত্তিও ‘নগদ’ বিতরণ করবে অক্টোবরে। দুই একদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেটা পেয়ে গেলে চলতি মাস থেকেই ‘নগদ’ আগের তিন মাসের উপবৃত্তি একসঙ্গে দেবে।

প্রতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ের এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এই প্রক্রিয়ায় উপবৃত্তি পেয়ে থাকে। তাতে সব মিলে সরকারের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবে ওপেন টেন্ডার ম্যাথড বা ওটিএম পদ্ধতিতে যাওয়া বা ‘নগদ’ কে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। তখন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় ‘নগদ’ কে কাজটি দিতে নির্দেশন দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, শিউরক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করতে গিয়ে গত তিন বছরে তারা অসংখ্যা অভিযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে ক্যাশ আউটের জন্যে পর্যাপ্ত এজেন্ট পয়েন্ট না থাকা বা এজেন্টরাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা রেখে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা জনপ্রতি ৭৫ এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পাবে। এর আগে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পেতো ১০০ টাকা।,