মাহমুদউল্লাহকে বড় চ্যালেঞ্জ মুশফিকদের

‘ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৯৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন তিনি। জ্বলে উঠেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমও। তাই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের চতুর্থ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নাজমুল একাদশ।

ষষ্ঠ ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রুবেল। তাঁকেও সরাসরি বোল্ড করেন। ১৪ বলে ৩ রান করেন দলটির অধিনায়ক। ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ।

নবম ওভারে নিজের প্রথম উইকেট পান সুমন খান। এলবির ফাঁদে ফেলে তরুণ ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনকে ফেরান (১৯) সুমন।

৩১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও মুশফিকুর রহিম। চাপ কাটিয়ে ধীরে সুস্থে দলকে এগিয়ে নেন দুজনে।

অবশ্য শুরুতেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যাচ ছেড়ে দিলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এক রানে জীবন পেয়ে আফিফের সঙ্গে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।

দারুণ খেলেন আফিফ। ৬৯ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। এরপর সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু ৩৮.৫ ওভারে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রানআউট হন তিনি। ৯৮ রানে থামে আফিফের ইনিংস। ১০৮ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।

এর মধ্যে ৯০ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুশফিক। তবে হাফসেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ৯২ বলে ৫২ রানে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর শেষের দিকে ইরফানের ৩২ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ২৬৪ রান করে নাজমুল একাদশ।

মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে বল হাতে ৫৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। ৬০ রান খরচায় এবাদত হোসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট। ৫২ রান খরচায় একটি পান সুমন খান।

এর আগে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে তিনটি ম্যাচ হয়েছে। একটি করে জয় পেয়েছে প্রতিটি দল। আজ যে দল জিতবে, তারা ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। আর পরাজিত দল শেষ ম্যাচের অপেক্ষায় থাকবে।

টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা। তবে তৃতীয় ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন কয়েকজন। সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ ইনিংস খেলেছেন মেহেদী হাসান। তবে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে আছেন প্রতিটি দলের বোলাররা।,