চীনা ভ্যাকসিন বয়স্কদের শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে

‘চীনের প্রথম সারির একটি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষায় দারুণ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গেছে। তরুণ থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের শরীরেও এই চীনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স 

চীনের এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম ‘বিবিআইবিপি-করভি’। বেইজিং ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, গবেষণাগারে সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে (নভেল করোনাভাইরাস) একেবারে নিষ্ক্রিয় করে এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে।

নিষ্ক্রিয় ভাইরাল স্ট্রেইন মানুষের শরীরে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। এই ভাইরাল স্ট্রেইন শরীরে ঢুকে বিভাজিত হতেও পারবে না।

গবেষণাপত্রটির অন্যতম লেখক অধ্যাপক জিয়াওমিং ইয়াং বলেছেন, ভাইরাল স্ট্রেইন নিষ্ক্রিয় করার জন্য ‘বিটা-প্রপ্রায়োনোল্যাকটোন’ নামের বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশাপাশি, এই ভ্যাকসিনের গুণমান বাড়ানোর জন্য মেশানো হয়েছে ‘অ্যাডজুভ্যান্ট’ বা ‘ইমিউনোমডিউলেটর’। ‘অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড’ নামের অ্যাডজুভ্যান্ট ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়িয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।

কীভাবে হয়েছে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল?

গবেষকরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথম দলে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের ৮ মাইক্রোগ্রাম ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়ে শূন্য থেকে ২৮ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। অন্যদিকে, ৬০ বছর থেকে ৮০ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দিষ্ট মাত্রায় ভ্যাকসিনের দুটি শট দিয়ে শূন্য থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

দেখা যায়, দুই দলের স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ৪২ দিন পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে সক্রিয় হয়েছে ‘টি-লিম্ফোসাইট’ কোষ। গবেষকদের দাবি, ভ্যাকসিনের ডোজে ‘সাইটোটক্সিক সিডি৮-পজিটিভ টি কোষ’ সক্রিয় হয়েছে। এ ধরনের টি-কোষ সংক্রামক প্যাথোজেন থাকা কোষকে নষ্ট করে দিতে পারে।,