অন্য রকম পুজোর আনন্দে

পুজোর আনন্দের আমেজে ভাটা পড়েছে বাঙালির। করোনাসুরের আক্রমণ এড়িেয় টলি তারকারা পুজো কী ভাবে কাটাবেন?

ষষ্ঠীর দিন লন্ডন থেকে শুটিং সেরে কলকাতায় ফিরলেন জিৎ। অন্যান্য বছর পুজোর ভিড় এড়াতে  পাড়ি দিতেন ইউরোপ, আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরে। কিন্তু নায়কের কাছে এ বারের চিত্র পুরোটাই উল্টো। কালীঘাটের বাড়িতে থাকার সময়   ধুনুচি নাচ ও ঢাক বাজানোয় অংশ নিতেন নায়ক। অনেক বছর পর তারই কি পুনরাবৃত্তি হবে? তবে এ বার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে জিৎ সময় কাটাবেন।

গত তিন বছর ধরে বাঘাযতীনের এক ক্লাবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন প্রিয়ঙ্কা সরকার। এ বছর ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হলেও, পুজোর চার্ম খুঁজে পাচ্ছেন না নায়িকা। প্রিয়ঙ্কার আফসোস, ‘‘অন্যান্য বছর পুজো ওপেনিং ইভেন্ট থেকে সপ্তমী পর্যন্ত দম ফেলার সময় পেতাম না। কিন্তু এ বার একেবারে ছুটির মুডে রয়েছি। সময় কাটানোর নানা উপায় বার করেছি।’’ পুজো পরিক্রমায়  সারা দিন প্যান্ডেল হপিং, স্ট্রিট ফুড খাওয়ার আনন্দ মিস করছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। তবে সাত মাস পর ষষ্ঠীর দিন অ্যাকাডেমিতে ‘মহাভারত’ নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার মধ্যেই নায়িকা খুঁজে পেয়েছেন পুজোর আনন্দ।
পুজোয় মুক্তি প্রাপ্ত ছবি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন নুসরত জাহান। তবে জানালেন, অষ্টমীর অঞ্জলি এবং সিঁদুরখেলা মিস করবেন। এমনকি, সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে শ্বশুরবাড়িও যাচ্ছেন না। নিজের অভিনীত চরিত্রগুলির প্রিন্টে একটি শাড়ি বানিয়েছেন নুসরত। পুজোয় একদিন সেটিই পরবেন।
করোনার জন্য মল্লিক পরিবারে এ বার দুর্গাপুজোয় আড়ম্বর কম। কোয়েল জানালেন, শুধু পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন পুজোয়।  করোনার এই পরিস্থিতিতে অন্য বারের মতো পুজো উদ্‌যাপনের কথা ভাবতেই পারছি না,’’ হতাশার সুর অভিনেত্রী ইশা সাহার কণ্ঠে। একদিন বাংলা ছবি দেখার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

এ বারের পুজোর চেনা আনন্দ নেই। সুরক্ষাই প্রথম শর্ত তারকাদের।  তাই বাড়ি বসে পুজোর আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন তাঁরা।